ছুরিকাহত করে ব‍্যবসায়ীর লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই এর ঘটনায় ধৃত তিন জন

24th May 2021 6:54 pm বর্ধমান
ছুরিকাহত করে ব‍্যবসায়ীর লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই এর ঘটনায় ধৃত তিন জন


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : ছুরি চালিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীকে জখম করে লক্ষাধীক টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ৩ দুস্কৃতি কে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ ।  গত ৩০ এপ্রিল রাতে ওষুধ ব্যবসায়ী লিটন মজুমদারের কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছিল শহর বর্ধমানের  মালিরবাগান এলাকায় । এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ কে হাতিয়ায় করে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ ঘটনায় জড়িত দুস্কৃতিদের চিহ্নিত করে ।রবিবার রাতে পুলিশ শেখ আজাদ,শেখ মিরাজ ও শেখ সাবির নামে তিন দুস্কৃতিকে   কে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর বর্ধমানের ওষুধ ব্যবসায়ী মহলে ।  পুলিশ জানিয়েছে , ধৃত শেখ আজাদের বাড়ি শহর বর্ধমানের কাঁটাপুকুর এলাকায়। অপর দুই ধৃত শেখ মিরাজ ও শেখ সাবিরের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার মূলকাটি গ্রামে ।  বর্ধমান থানার পুলিশ রবিবার রাতে বাড়ি থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে ।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ ৩ ধৃতকে সোমবার পেশ করে বর্ধমান আদালতে। ছিনতাই হওয়া সামগ্রী উদ্ধার ও ছিনতাই চক্রে  আরও কারা যুক্ত রয়েছে তা জানার জন্যে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের ১০ দিন পুলিশি  হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান । বিচারক ধৃতদের ৭ দিন পুলিশ হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।  জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় এদিন জানিয়েছেন,ওষুধ ব্যবসায়ী লিটন মজুমদারের বাড়ি শহর বর্ধমানের  রাজগঞ্জ মালিরবাগান এলাকায় । বর্ধমানের কাঁটাপুকুর সংলগ্ন এলাকার কল্যাণী মার্কেটে তাঁর ওষুধের পাইকারি ব্যবসার দোকান রয়েছে ।ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৯ টা , সাড়ে ৯ টা নাগাদ লিটন মজুমদার দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাচ্ছিলেন । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ,“ওইদিন বাড়ির কাছেই দুস্কৃতি দল লিটন বাবুকে  ছুরিকাহত করে তাঁর কাছে থাকা লক্ষাধীক টাকা ভর্তি ব্যগ ছিনিয়ে নিয়ে পালায়।ওই ব্যাগে টাকা ছাড়ও লিটন বাবুর ৩ টি মোবাইল  ফোন ,চশমা ও নথিপত্র ছিল ।এই ঘটনার খবর পেয়েই বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লিটন বাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করে ।পরে ওষুধ ব্যবসায়ী  লিটন বাবু পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে পুলিশ তদন্তে নামে । রবিবার প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় শেখ আজাদ কে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে ছিনতাইয়ের ঘটনায় রায়নার মূলকাটি গ্রামের শেখ মিরাজ ও শেখ সাবিরও যুক্ত ছিল। এরপর ওই রাতেই মিরাজ ও  সাবির কে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত বাইক ও ছিনতাই হওয়া সামগ্রী  উদ্ধারের জন্যে  ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে “। বর্ধমান থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, তদন্তে ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের পাশাপাশি পুলিশি সোর্স কে কাজে লাগানো হয়। তার মাধ্যমেই দুস্কৃতিদের  চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।